কৈশোরের হৃদয় খান এক নস্টালজিয়ার নাম 🙌🏽
গানের ভিজ্যুয়াল দেখার পর মনে হয়েছে পুরো সিনেমাটি আমি দেখতে চাই - হৃদয় খান।
দ্বিতীয় বারের মতো ফোক গান গাইলেন হৃদয় খান
গানটি নিয়ে এক আলাপচারিতায় বলেছেন উপরোক্ত
কথাটা।
বছরের শেষদিন ভক্ত-শ্রোতাদের জন্য রোমান্টিক ঘরানার নতুন গান উপহার দিয়েছেন সংগীতশিল্পী হৃদয় খান। ‘ভালোবাসা কী’ শিরোনামের গানটি হৃদয় খানের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়। গানটির কথা লিখেছেন অভিনেত্রী-লেখক শানারেই দেবী শানু। ভালোবাসা এবং ভালো অনুভূতির কথা ফুটে উঠেছে গানটিতে। গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শিল্পী নিজেই।
বছরের শেষ সিনেমা হিসেবে মুক্তি পেয়েছে 'রাত জাগা ফুল' সিনেমাটি। অভিনেতা মীর সাব্বিরের পরিচালিত সিনেমাটিতে ৫টি গান ব্যবহৃত হয়েছে। 'মনে থাকে মনের মানুষ' শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছে হৃদয় খান। গানটি নিয়ে এক লাইনে বলতে হয়; হৃদয় শীতল করার মতো গান। এছাড়াও অনান্য গানগুলো তে কণ্ঠ দিয়েছেন; ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ, ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা, ‘জলের গানে'র রাহুল আনন্দ, বাউল শিল্পী শফি মন্ডল এবং এস আই টুটুল।
রাত জাগা ফুল-সিনেমার ট্রেলারে প্রথম শুনতে পাই হৃদয় খানের কন্ঠে গানটি। "বনে থাকে মনের মানুষ মস্ত বড় দুনিয়ায়, জীবন নদীর কূল-কিনারা / খুইজা পাওয়া দায়"—এমন কথায় গানটি তে কণ্ঠ দিয়েছেন হৃদয় খান। গানটির কথা লিখেছেন নির্মাতা নিজেই। অসাধারণ লিরিক কে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন হৃদয় খান তার শ্রুতিমধুর কণ্ঠ দিয়ে। পাশাপাশি হৃদয় খানের অনবদ্য সুর-সংগীতায়োজনে গানটি হয়ে উঠেছে এককথায় অনবদ্য!
পর্দায় এই গানের দৃশ্যায়নে দেখা যায় অভিনেত্রী তানিন তানহা এবং অভিনেতা শাহেদ শাহরিয়ার কে। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ট্রলার দিয়ে বউ কে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যের সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে হৃদয় খানের সুরেলা কণ্ঠের গানটি শুনে মনে হচ্ছিল এই আবহের সঙ্গে এটাই পারফেক্ট সং। গানের কথাগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায় একটা বেদনায় ভরা গান। দুই মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও তে পুরোটা সময়ই উপভোগ করবেন বলা যায় নির্দ্বিধায়। এছাড়াও সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে বলতে গেলে ড্রোনে নেওয়া একটা সিন বলতে হয়।
গানটি তৈরি করার পিছনের গল্প নিয়ে নির্মাতা মীর সাব্বিরের সঙ্গে নিজস্ব স্টুডিও তে এক আলাপচারিতায়
বসেছিলেন সংগীতশিল্পী হৃদয় খান। তিনি বলছিলেন; গানের লিরিক গুলো যখন হাতে পেলাম। তখন আমার মধ্যে একটাই প্রশ্ন! এত সুন্দর কথা কে লিখলো? যখন জানলাম আপনার ওই তখন রীতিমতো অবাক হয়েছি আমি। তিনি আরো বলেন; গানের কথাগুলো ভীষণ প্রাকটিকাল। দেশীয় ফোক ঘরানার একটা গান করার চেষ্টা করেছিলেন হৃদয় খান বহুদিন যাবত এবং সে প্রচেষ্টার অবসান ঘটিয়েছেন মীর সাব্বির। নির্মাতা হিসেবে হৃদয় খান কে নিয়ে তার নতুন ইমপ্লিমেন্ট বলা যায় স্বার্থক।
হৃদয় খানের গান নিয়ে কাজবাজ শুরু হয় কিশোর বয়সেই। গানের ওস্তাদ ছিলেন দাদা। গানের আবহ ছিল পারিবারে সবসময়ই তাই গানের হাতেখড়ি শেখা নিজ ঘরেই৷ হৃদয় খানের বাবা রিপন খানও হলেন নামকরা সঙ্গীতশিল্পী। ২০০৮ সালে লেজার ভিশন থেকে 'হৃদয় মিক্স' বাজারে আসে। সেই অ্যালবামের কয়েকটি গান তাতে জনপ্রিয় করে তুলে শ্রোতাদের মাঝে। হৃদয় খান কে চলচ্চিত্রের গানে পাওয়া যায় তুলনামূলক কম।
লম্বা একটা বিরতি দিয়ে সিনেমার জন্য গাইলেন তিনি। সেখানেই 'মনে থাকে মনের মানুষ' গান দিয়ে একবারে ফাটিয়ে দিলেন। 'কী জ্বালা' শিরোনামে গানের পর আরও একবার ফোক ঘরানার গানে কণ্ঠ দিলেন তিনি।
হৃদয় খান আমার কাছে এক নস্টালজিক নাম৷ 'ফিরে তো পাবো না', 'এত কিছু বোঝো', 'বলনা তুই বল না', 'কি জ্বালা', 'ভালো লাগে না'—এ গানগুলোর সঙ্গে মিশে আছে অসংখ্য আবেগ। তার কণ্ঠে দীর্ঘদিন পর এমন গান শুনতে পাওয়া সত্যিই ভালোলাগার। হৃদয় খান আমাদের প্রজন্মের শ্রোতাদের তার সুরেলা কণ্ঠের গান দিয়ে মুগ্ধ করতে থাকুক এটাই প্রত্যাশা রইলো।
লিখা: Golam Morshed Simanto from Bangladeshi band music fans community.
কৈশোরের হৃদয় খান এক নস্টালজিয়ার নাম 🙌🏽 গানের ভিজ্যুয়াল দেখার পর মনে হয়েছে পুরো সিনেমাটি আমি দেখতে চাই - হৃদয় খান। দ্বিতীয় বারের মতো ফোক গান গাইলেন হৃদয় খান গানটি নিয়ে এক আলাপচারিতায় বলেছেন উপরোক্ত কথাটা। বছরের শেষদিন ভক্ত-শ্রোতাদের জন্য রোমান্টিক ঘরানার নতুন গান উপহার দিয়েছেন সংগীতশিল্পী হৃদয় খান। ‘ভালোবাসা কী’ শিরোনামের গানটি হৃদয় খানের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়। গানটির কথা লিখেছেন অভিনেত্রী-লেখক শানারেই দেবী শানু। ভালোবাসা এবং ভালো অনুভূতির কথা ফুটে উঠেছে গানটিতে। গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শিল্পী নিজেই। বছরের শেষ সিনেমা হিসেবে মুক্তি পেয়েছে 'রাত জাগা ফুল' সিনেমাটি। অভিনেতা মীর সাব্বিরের পরিচালিত সিনেমাটিতে ৫টি গান ব্যবহৃত হয়েছে। 'মনে থাকে মনের মানুষ' শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছে হৃদয় খান। গানটি নিয়ে এক লাইনে বলতে হয়; হৃদয় শীতল করার মতো গান। এছাড়াও অনান্য গানগুলো তে কণ্ঠ দিয়েছেন; ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ, ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা, ‘জলের গানে'র রাহুল আনন্দ, বাউল শিল্পী শফি মন্ডল এবং এস আই টুটুল। রাত জাগা ফুল-সিনেমার ট্রেলারে প্রথম শুনতে পাই হৃদয় খানের কন্ঠে গানটি। "বনে থাকে মনের মানুষ মস্ত বড় দুনিয়ায়, জীবন নদীর কূল-কিনারা / খুইজা পাওয়া দায়"—এমন কথায় গানটি তে কণ্ঠ দিয়েছেন হৃদয় খান। গানটির কথা লিখেছেন নির্মাতা নিজেই। অসাধারণ লিরিক কে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন হৃদয় খান তার শ্রুতিমধুর কণ্ঠ দিয়ে। পাশাপাশি হৃদয় খানের অনবদ্য সুর-সংগীতায়োজনে গানটি হয়ে উঠেছে এককথায় অনবদ্য! পর্দায় এই গানের দৃশ্যায়নে দেখা যায় অভিনেত্রী তানিন তানহা এবং অভিনেতা শাহেদ শাহরিয়ার কে। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ট্রলার দিয়ে বউ কে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যের সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে হৃদয় খানের সুরেলা কণ্ঠের গানটি শুনে মনে হচ্ছিল এই আবহের সঙ্গে এটাই পারফেক্ট সং। গানের কথাগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায় একটা বেদনায় ভরা গান। দুই মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও তে পুরোটা সময়ই উপভোগ করবেন বলা যায় নির্দ্বিধায়। এছাড়াও সিনেমাটোগ্রাফি নিয়ে বলতে গেলে ড্রোনে নেওয়া একটা সিন বলতে হয়। গানটি তৈরি করার পিছনের গল্প নিয়ে নির্মাতা মীর সাব্বিরের সঙ্গে নিজস্ব স্টুডিও তে এক আলাপচারিতায় বসেছিলেন সংগীতশিল্পী হৃদয় খান। তিনি বলছিলেন; গানের লিরিক গুলো যখন হাতে পেলাম। তখন আমার মধ্যে একটাই প্রশ্ন! এত সুন্দর কথা কে লিখলো? যখন জানলাম আপনার ওই তখন রীতিমতো অবাক হয়েছি আমি। তিনি আরো বলেন; গানের কথাগুলো ভীষণ প্রাকটিকাল। দেশীয় ফোক ঘরানার একটা গান করার চেষ্টা করেছিলেন হৃদয় খান বহুদিন যাবত এবং সে প্রচেষ্টার অবসান ঘটিয়েছেন মীর সাব্বির। নির্মাতা হিসেবে হৃদয় খান কে নিয়ে তার নতুন ইমপ্লিমেন্ট বলা যায় স্বার্থক। হৃদয় খানের গান নিয়ে কাজবাজ শুরু হয় কিশোর বয়সেই। গানের ওস্তাদ ছিলেন দাদা। গানের আবহ ছিল পারিবারে সবসময়ই তাই গানের হাতেখড়ি শেখা নিজ ঘরেই৷ হৃদয় খানের বাবা রিপন খানও হলেন নামকরা সঙ্গীতশিল্পী। ২০০৮ সালে লেজার ভিশন থেকে 'হৃদয় মিক্স' বাজারে আসে। সেই অ্যালবামের কয়েকটি গান তাতে জনপ্রিয় করে তুলে শ্রোতাদের মাঝে। হৃদয় খান কে চলচ্চিত্রের গানে পাওয়া যায় তুলনামূলক কম। লম্বা একটা বিরতি দিয়ে সিনেমার জন্য গাইলেন তিনি। সেখানেই 'মনে থাকে মনের মানুষ' গান দিয়ে একবারে ফাটিয়ে দিলেন। 'কী জ্বালা' শিরোনামে গানের পর আরও একবার ফোক ঘরানার গানে কণ্ঠ দিলেন তিনি। হৃদয় খান আমার কাছে এক নস্টালজিক নাম৷ 'ফিরে তো পাবো না', 'এত কিছু বোঝো', 'বলনা তুই বল না', 'কি জ্বালা', 'ভালো লাগে না'—এ গানগুলোর সঙ্গে মিশে আছে অসংখ্য আবেগ। তার কণ্ঠে দীর্ঘদিন পর এমন গান শুনতে পাওয়া সত্যিই ভালোলাগার। হৃদয় খান আমাদের প্রজন্মের শ্রোতাদের তার সুরেলা কণ্ঠের গান দিয়ে মুগ্ধ করতে থাকুক এটাই প্রত্যাশা রইলো। লিখা: Golam Morshed Simanto from Bangladeshi band music fans community.
4
0 Commentarios 0 Acciones