আপনি হয়তো ঢাকার কোন ব্যস্ত রাস্তায় জ্যামে বসে আছেন,বিরক্ত,মনে মনে গালাগালি করছেন সরকার আর এ দেশের সমাজব্যবস্থাকে। আমাদের দেশের সাধারন মানুষের অবশ্য এই কাজটি ছাড়া আর কিছু করার অধিকার নেই। দেশের এ অবস্থা দেখে কার্ল মারক্সের কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে তার বিখ্যাত শ্রেণী সংগ্রামের কথা। তার প্রণীত ব্যখ্যায় তিনি বলেছেন, শোষিত হতে হতে যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন প্রতিবাদী হয়ে ওঠে জনতা। কিন্তু আমার এই দেশে  মানুষের মনুষ্যত্ববোধটাই পাল্টে গেছে,অন্যভাবে বলতে গেলে অন্যায় এর প্রতিবাদ না করতে করতে মানুষের ভিতরের মানুষটাই মরে গেছে।আমাদের দেশে সমস্যার শেষ নেই তবে এই সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুরা। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় আবার অনেক সময় এক সরকারের শাসনামলেই বিভিন্ন শিক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তন দেখা যায়। এ তো গেল শিক্ষাব্যবস্থার কথা, আমরা যদি শুধু ঢাকা শহরের কথাই চিন্তা করি এখানে অল্প জায়গায় অনেক মানুষের বসতি। প্রতিনিয়ত গ্রাম থেকে মানুষ এসে ভিড় জমাচ্ছে বেশিরভাগই নিজেদের বাসত্থান করে তুলছে বস্তিগুলোকে। বস্তির নোংরা পরিবেশে শিশুরা যেমন সাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে তেমনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।অনেক সময় তাদের দিয়ে করানো হচ্ছে অপরাধমূলক কাজ যেমন,পকেটমার,ছিনতাই,মাদক ব্যবসাসহ আরো অনেক কাজ। বস্তির শিশুদের যৌন নিপীড়নের স্বীকার হতে হয় হরহামেশাই, তাদের পড়ালেখার জন্যও তেমন কোন ব্যবস্থা নেই,তবে বর্তমানে কিছু সংস্থা কাজ করছে বস্তির শিশুদের উন্নয়নের জন্য। সমাজব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য সরকারসহ দেশের সুশীল সমাজের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে।