#Valentinecompetition সময়টা ২০১৫ সালের আমি তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি। ঘটনাটি ছিলো ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল সেদিন অনার্স ১ম বর্ষের ১ম ক্লাস ছিলো।অনেক নতুন নতুন ছাএ ছাএীর আগমন।ভার্সিটিতে গেলাম বন্ধুরা সহ সিড়ি দিয়ে উঠতে ছিলাম, আর উপর থেকে নামতেছিলো ১ম বর্ষের একটি মেয়ে, হঠাৎ করে দাড়িয়ে গেলাম, আর তাকিয়ে ছিলাম চোখজোড়া দিয়ে তার দিকে। লক্ষ্য করলাম মেয়েটি ও যেনো আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর সিঁড়ি অতিক্রম করে নামতেছে। এবার আমাকে অতিক্রম করে নেমে গেলো আর আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি অসাধারন হাসি দিলো যাহা দেখে মুগ্ধ আমি। এবার রাত ব্যাপি ভাবনা, চোখের সামনে বার বার ভেসে আসছে তার সেই হাসিখানা মুখটা।মনে হলো আমি আমার স্থানে নাই, আমি হারিয়ে গিয়েছি ভিন্ন জগতে। যেহেতু একই ডিপার্টমেন্ট এর তাই সহজেই খুঁজে বাহির করতে সক্ষম হলাম তার নাম, ঠিকানা।মাঝে মাঝে ক্লাসের বারান্দায় দেখা হত কিন্তু কথা বলার সাহস ছিলো না। দেখতে দেখতে মে মাসের ১২ তারিখ নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে।যার পুরো দায়িত্ব ছিলো ২য় বর্ষের ছাএ ছাএীদের উপর।নবীন বরন অনুষ্ঠান ছিলো আমাদের গ্যালারীর ভিতরে।অপরদিকে আমি ছিলাম গ্যালারীর বাহিরে ভলান্টিয়ার হিসাবে।অনুষ্ঠানের মাঝে হঠাৎ মেয়েটি বের হলো ওর একটু প্রয়োজনে, একা পেয়ে অনেক সাহস করে গেলাম কথা বলার জন্য, আমাদের ১ম সরাসরি কথা নিজের মধ্যে অন্যরকম এক অনুভুতি কাজ করছিলো তখন। সামনে দাড়িয়ে কি বলবো কিছুই খুজে পাচ্ছিলাম না, ৩০ সেকেন্ড অতিবাহিত হয়ে গেলো দুইজনেই চুপ। এবার নিজেই জিজ্ঞেস করলাম আমি :কেমন অাছো.? মেয়েটি :হুম ভালো। আমি: তোমার নামটা জানা হয় নাই এখনো। মেয়েটি : ফারিহা জেবিন মেহতাজ। আমি : বেশ সুন্দর তো, তুমি যেমন সুন্দর তোমার নামটাও বেশ সুন্দর। ততক্ষণে উল্টা দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলো সে। আমি :আমার নাম,তাওফিক আহমেদ সাইফি আমি ২য় বর্ষে আছি। তুমি যেনো কোন বর্ষে?(যদিও জানতাম) মেয়েটি :১ম বর্ষে, আচ্ছা বেশ কিছু দিন ধরে দেখতেছি আপনি আমাকে লক্ষ্য করতেছেন দেখতেছি, কিছু বলবেন? এ কথা বলতে না বলতে কোথাথেকে যেনো আমার এক বন্ধু এসে হঠাৎ করে বলে উঠলো, সাইফি যে তোমার উপর ক্রাশ খাইসে তুমি জানো না তা?ও তো তোমাকে প্রথম যেদিন দেখসে সেদিনই ভালোবেসে ফেলসে.. আমি:(মনে মনে, শালার বন্ধু দিলো সব শেষ করে) মেয়েটি : ও আচ্ছা, তাই নাকি? আমার বন্ধু :হুম,যদি যোগাযোগ করার মতো কোনো ব্যবস্থা থাকে,তাহলে ওকে মাধ্যমটা বলে দেও। মেয়েটি :আমাদের পরিবারের তো একটু সমস্যা সবসময় মোবাইল হাতে দেখলে আম্মু বকাঝকা করে। বন্ধু :আচ্ছা তোমার সময় অনুযায়ী সে তোমার সাথে যোগাযোগ করবে। মেয়েটি :আচ্ছা, আপনার বন্ধুকে বলেন এদিকে আসতে আমি : জ্বি..😰😰 মেয়েটি :নেন, এটা আমার ফেসবুক একাউন্ট।রাতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েন। আমি :আচ্ছা(অনেকটা লজ্জায় লজ্জায় বললাম) ঠিক আছে.. দিন শেষে রাতে এসে ওকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দেই।১০ মিনিটের মধ্যে এক্সেপ্ট করলো।আমি একটা মেসেজ করলাম, "Hi" ১মিনিট পরে বিপরীত দিক থেকে "Hello" অাসলো তারপর আস্তে আস্তে কথা বার্তা বলতে শুরু করলাম একটা সময় গিয়ে আমি জিজ্ঞেস করলাম.. আমি: আচ্ছা তুমি কি কোনো প্রেমটেম করো নাকি? মেয়েটি: না। সে আবার একই প্রশ্ন আমাকে করলো। আমি :তোমারই মতো মেয়েটি : ও আচ্ছা তাহলে দুজনেই একরকম? আমি :হুম এভাবে দিন যাচ্ছে আমরা ও ততদিনে নিজেদের দুজনকে দুজনেই খুব কাছের মানুষের স্থানে নিয়ে এসেছি। একদিন ঠিক করলাম একটা স্থানে দেখা করবো(যদিও ক্লাসের বারান্দায় দুইজনের দেখা হয় তবুও চেয়েছি একটু আলাদা একটা জায়গা যেখানে একটু কথা বলতে পারি) ঠিক করলাম ২০১৬ নভেম্বর এর ১৩ তারিখ কে। দুজনেই একটি স্থানে ক্লাস শেষ করে আসবো বলে ঠিক করলাম।স্থান হিসাবে বেছে নিলাম ভার্সিটির "সপ্তম ছায়ামঞ্চ" কে।সেদিন অামি তাকে সরাসরি প্রোপজ করলাম। এবং সে সেটা রাখলো। এভাবেই শুরু হলো আমাদের নতুন সম্পর্ক আলহামদুলিল্লাহ আজ ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী আমাদের প্রেম ভালবাসার পরিমান এতটুকুও কমেনি।